একইসাথে ভদ্র ও বিপ্লবী, বিনয়ী ও দৃঢ়, নম্র ও কঠোর ক্যারেক্টারিস্টিক্স ধারণ করা জান্নাতুল আদন নুসরাত যেকোনো অসংগতি, বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় ছিলেন পরিচিত কণ্ঠস্বর।
প্রথম বর্ষ থেকে নিজে নিজে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার চেষ্টা করতেন নানাভাবে, শ্রুতিলেখক হিসেবে বিনা পারিশ্রমিকে পরীক্ষা দিতেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভাইবোনদের হয়ে।
তিনি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের (ভার্সিটি এডমিশন কেয়ার) সাথে যুক্ত, যেখানে এমন শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় যারা শহরে এডমিশন কোচিং করতে যেতে পারে না- তাদেরকে কম পারিশ্রমিকে এবং যাদের সামর্থ্য নেই তাদেরকে বিনামূল্যে পড়াশোনা করিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়। উল্লেখ্য, এই প্রতিষ্ঠানেও তিনি বিনিময় ছাড়া সেবা (ক্লাস) দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগ ছেড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন প্যাশনকে গুরুত্ব দিয়ে। আর এখন তার প্যাশন ন্যায়, সত্য ও কল্যাণের পথে থেকে সুন্দর একটা জীবন কাটানো।
তিনি এমন একটি ক্যাম্পাসের স্বপ্ন দেখেন যেখানে পূর্ণাঙ্গ আবাসন থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কাজের দীর্ঘসূত্রিতামুক্ত, শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।