হারেজুল ইসলাম। যিনি হারেস মাতাব্বর নামে সর্বাধিক পরিচিত। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের ছাত্র অধিকার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
একজন মানুষকে নানানভাবে সঙ্গায়ন করা যায়৷ হারেস এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি একসূত্রে গাঁথা। শৈশব-কৈশোর থেকে সাহিত্য-সংস্কৃতির সাথে তাঁর পথচলা। জনপ্রিয় গানের দল 'তুরাগ শিল্পীগোষ্ঠী' থেকেই হাতেঘড়ি এবং সর্বশেষ সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন৷ শিল্পী সত্তাকে ছাপিয়ে হারেস সাহিত্য-সংস্কৃতির একজন দক্ষ সংগঠক। দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশ ও সম্প্রসারণে তাঁর দক্ষতা, অর্জন ও অবদান চোখে পড়ার মতো।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য-সংস্কৃতির জীবন্ত ক্যানভাস। এখানে শিল্পী, সাহিত্যক, সাংস্কৃতিক কর্মীরা মনের মাধুরী মিশিয়ে আঁকেন এদেশের মাটির পরতে পরতে মিশে থাকা যাপিত জীবনের গান ও গল্প৷ হারেস এই বাগানের একজন দক্ষ মালি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দুর্নিবার সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংসদ'-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার পরিচালনা ও প্রযোজনায় ২০ এর অধিক সংগীত, ৮ টি কবিতা ও ৫ টি শর্টফিল্ম নির্মিত হয়েছে। হারেস মাতাব্বর অভিনীত শর্টফিল্ম -'প্রতিদান ও স্বাধীনতা' তুমুল দর্শক নন্দিত হয়েছে৷
সারাদেশে জনপ্রিয় কাওয়ালী ব্যান্ড 'আজাদী মঞ্চ' এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি হারেস মাতব্বর। জুলাই বিপ্লব পরর্বতী সময়ে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে তার দল নিয়ে প্রোগ্রাম করে পেয়েছেন সুনাম, সুখ্যাতি।
অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকে 'মা' শিরোনামে কবিতা বার্ষিক ম্যাগাজিনে প্রকাশের মধ্য দিয়ে সাহিত্যে যাত্রা শুরু হয় তাঁর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে ধারণ করে সাহিত্য-সংস্কৃতিতে তার ভিশনারি চিন্তা ও কাজ শিক্ষার্থীদের আশান্বিত করছে।
আসন্ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল "সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট" থেকে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তার ব্যালট নাম্বার ১৭