সালমান ফারসী ছিলেন ফ্যাসিবাদ আমলের অন্যতম একজন।কলেজ জীবন থেকেই অনলাইনে লিখে এসেছেন ফ্যাসিবাদী শাসনামলের বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে ফ্যাসিবাদের সুরে কন্ঠ মেলাতে না পেরে প্রথম দিনেই হল ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।এর পর ধীরে ধীরে নিজেকে পরিপক্ব করে তুলে ধরতে নিজের চেষ্টার মাধ্যমে যুক্ত হোন সাংবাদিকতায়।
পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্য হয়ে যান।
নিয়মিত কলম চালাতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নানা অপকর্ম ও প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে।
ছাত্রলীগের সংঘাত সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিষয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ নিউজ ও ফিচার করেছেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি সবসময় বিভিন্ন সামাজিক কাজ করতেন তাঁর নিজ এলাকা ও উপজেলায়।প্রায় অর্ধযুগ ধরে তিনি শিক্ষার্থী ও সমাজের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের স্কলারদের নিয়ে কয়েকটি শিক্ষা সেমিনার করেছেন অনলাইনে। যেখানে যুক্ত ছিল দেশের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী।
প্রতি বছর নানা সময় তিনি নিজ এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকেন বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাকে যুক্ত করার মাধ্যমে। শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি প্রতিবছর বিভিন্ন সংগঠনের সহায়তায় অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে ফ্রি কোচিং ও বইয়ের ব্যবস্থা করে দেন।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি সাংগঠনিক জীবনে মুক্ত ভাবে ফিরে আসেন।তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও চলমান ছাত্র ও রাজনীতিতে অসন্তোষের বিষয়গুলো তিনি খুব সুন্দর ভাবে গোছালো আকারে অনলাইনে তুলে ধরেন।
ছাত্র শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একটি হলের সেক্রেটারি হওয়ার পরও তিনি সবসময় সরব ছিলেন অনলাইন ন্যারেটিভ এর ব্যাপারে। ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে কোন মিথ্যাচার হলেই তিনি খুব দ্রুত তা তথ্য উপাত্তের আলোকে ডিবাংক করে সত্য মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন।রাজনীতির পাশাপাশি এক্টিভিজমে তিনি সংগঠনের বৃহৎ স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
তিনি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনে যুক্ত থাকলেও তাঁর ইনস্টিটিউটে আলাদা এক গ্রহনযোগ্যতা আছে তাঁর নিষ্ঠা ও সততার গুণে।তাঁর সহপাঠী ও ব্যাচমেটদের কাছে নম্র ও ভালো আচরনের মিশ্রণে বেশ আস্থাভাজন এক ব্যক্তি।