কৈশোরের প্রথম প্রহরেই সুশৃঙ্খল, সাংগঠনিক কাঠামোতে পদছাপ রেখেছেন জান্নাতুল ফেরদাউস সানজিদা। এই ছাপ ক্রমশ স্পষ্টতর হয়েছে, নেতৃত্বের গুণাবলী প্রতিভাত হয়েছে।
নিজ বিশ্বাস ও আদর্শের প্রচারে কাজ করে গেছেন আপোষহীন ভাবে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার একজন সক্রিয় সদস্যা হিসেবে ছাত্রীকল্যাণকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
সমান তালে ভূমিকা রেখেছেন স্কুল কলেজের নানান সহশিক্ষামূলক কাজেও। বক্তৃতা, বিতর্ক, আবৃত্তির মঞ্চে ছিলেন সরব।বহুমাত্রিক যোগ্যতার অধিকারী সানজিদা নির্বাচিত হয়েছিলেন স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনেও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পদার্পণের মাধ্যমে শুরু হয় নতুন পদযাত্রা। বন্ধুর পরিবেশেও স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা থেকে শুরু করে নানান ছাত্রীকল্যাণমূলক কাজের দায়িত্ব সামলান সফলতার সাথে।
চারিত্রিক সংজ্ঞায়নে জান্নাতুল ফেরদৌস সানজিদা কঠোরতা ও কোমলতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিংবা নিজ চিন্তা-চেতনা-সিদ্ধান্তে তিনি সর্বদা অটল। স্থিরতা, সৎ সাহস, প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরে যেমন স্ফুলিঙ্গ ঠিক তেমনি বিনয়, সম্পর্ক রক্ষা, সৌহার্দ্যবোধেও তার কোমলতা অতুলনীয়।
তার সততা, নৈতিকতা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন চরিত্র, দায়িত্বপরায়ণতা, সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার দরুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা তাকে একজন যোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে বাছাই করে নেবে বলেই বিশ্বাস করি।