নেতৃত্ব ও দায়িত্বশীলতার অপর নাম ফজলে রাব্বি তৌহিদ।
তৌহিদ তার ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই একাডেমিকালি চমৎকার রেজাল্টের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনে সম্মুখসারীতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। বর্তমানে সে ২৮টি দেশের আইনের শিক্ষার্থীদের সংগঠন নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল স্টুডেন্টস (নিলস) বাংলাদেশ চ্যাপ্টার–এর সভাপতি হিসেবে পুরো দেশের আইনের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এছাড়াও নিজ ক্যাম্পাসে ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে সভাপতি হিসেবে কাজ করছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) যুব গ্রুপ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়–এ। যেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন ও খাবারের হোটেলগুলোর নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে শুধু সোচ্চার হয়েই থেমে থাকেনি, বরং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এনে বহুবার অভিযান পরিচালনা করেছে।
তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ২য় বর্ষে যখন সে উপলব্ধি করে যে সাধারণ মানুষকে আইন সম্পর্কে সচেতন করা এবং গরীব-দুঃখীদের বিনামূল্যে আইনী সেবা দেওয়া জরুরি, তখনই প্রতিষ্ঠা করে লিগ্যাল এমপাওয়ারমেন্ট বাংলাদেশ (এলইবি)। বর্তমানে সে দেশের ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে এই সংগঠনের মাধ্যমে এবং অসংখ্য মানুষকে বিনামূল্যে আইনী সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে।

এছাড়াও সে অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছে এবং তার ক্যাম্পাস ও বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করেছে।

এখন সে এই চাকসু নির্বাচনে এসেছে নিজে কিছু পাওয়ার জন্য নয়, বরং তার নেটওয়ার্ক, অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শী চিন্তাভাবনা কাজে লাগিয়ে পুরো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীকে আইন ও মানবাধিকার বিষয়ে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে। এমন একটি ক্যাম্পাস গড়তে, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী আইন ও মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন থাকবে; যেখানে কোনো শিক্ষক বা বহিরাগত শিক্ষার্থীর মানবাধিকার একবিন্দুও ক্ষুণ্ণ করা যাবে না; যেখানে শিক্ষার্থীরা পাবে বিনামূল্যে আইনী সেবা ও আইনজীবী।
স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়তে আমরা ঐক্যবদ্ধ।