ফলো করুন:
ব্যালট নং
সহ–যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক
পদপ্রার্থী
ওবায়দুল সালমান

ওবাইদুল সালমান সবসময় অনুভব  করতেন- মানুষ বাঁচে কেবল নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্য কিছু করতে পারলেই জীবনের আসল মানে খুঁজে পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি জড়িত হতে শুরু করেন নানা সংগঠন ও উদ্যোগের সঙ্গে। MSLP (Marketing Society for Leadership Proliferation)-এ যুক্ত হয়ে তিনি নেতৃত্ব ও মার্কেটিংয়ের ভিন্ন ভিন্ন পাঠ শিখেছেন, যা পরবর্তীতে তার সংগঠনী জীবনের ভিতকে আরও দৃঢ় করে।
 
সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। আবৃত্তির মঞ্চ “কবিতা”-তে যুক্ত হয়ে সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে কণ্ঠকে বানিয়েছেন সমাজ পরিবর্তনের এক সৃজনশীল হাতিয়ার। শব্দের আবেগ দিয়ে তিনি ছুঁয়ে যেতে শিখেছেন মানুষের হৃদয়।
 
BNCC-তে যোগদান তার জীবনে এনেছে শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেমের নতুন অনুপ্রেরণা। সেখান থেকে তিনি শিখেছেন কিভাবে দলগত নেতৃত্ব গড়ে তোলা যায় এবং দায়িত্বকে নিজের সীমার বাইরেও ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
 
সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি “Helping Hand”-এ যুক্ত হয়েছেন, যেখানে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী মানুষের পাশে দাঁড়ানো ছিল তার প্রধান কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি গড়ে তুলেছেন “Lending Library”, যেখানে বই আদান-প্রদানের মাধ্যমে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়ছে। আর্থিক কষ্টে থাকা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে তিনি তৈরি করেছেন ব্যক্তিগত “কর্জে হাসানা” ফান্ড।
 
শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, নিজের গ্রামকেও তিনি আলাদা করে দেখেছেন। “সমাজ কল্যাণ সংস্থা”-র সভাপতি হয়ে তিনি গ্রামের কিশোরদের স্বপ্ন দেখতে শিখাচ্ছেন, পড়াশোনায় মনোযোগী করে তুলছেন, আর আত্মগঠনে উদ্যমী করছেন।
 
সব মিলিয়ে, ওবাইদুল সালমানের পথচলা এক অনুপ্রেরণার গল্প- যেখানে আবেগ আছে, দায়িত্ব আছে, আর আছে সমাজ পরিবর্তনের অবিরাম প্রচেষ্টা। তিনি বিশ্বাস করেন, ছোট ছোট উদ্যোগ একদিন গড়ে তুলবে সহমর্মী ও আলোকিত সমাজ। আর সেই যাত্রায় তিনি থামতে জানেন না।