ফলো করুন:
ব্যালট নং
১২
যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক
পদপ্রার্থী
মো. ইসহাক ভূঁইয়া

দক্ষতা, যোগ্যতা ও নেতৃত্বের গুণাবলীর এক অনন্য সমন্বয় মো. ইসহাক ভূঁঞা। সততা, আত্মবিশ্বাস এবং বাস্তবধর্মী চিন্তাধারার সমন্বয়ে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন দায়িত্বশীল ও দূরদর্শী ছাত্রনেতা হিসেবে।

 

ফ্যাসিবাদের ঘনঘটায় শৈশবকাল থেকেই তিনি ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যাত্রা শুরু করেন। সর্বশেষ জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার লেলিয়ে দেওয়া পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েও তিনি দমে যাননি। আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ৫ আগস্টের পর ভিসি পতন আন্দোলনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ইস্যুতে তার সক্রিয় ভূমিকা তাকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত করেছে। বিশেষ করে চবির যাতায়াত ও আবাসন সংকট নিরসনে ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

 

শিক্ষার্থীদের সমস্যা চিহ্নিত করতে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন একাধিক জরিপে। সেই জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতেই ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয় “চবি সংস্কারে সাত দফা” নামের গুরুত্বপূর্ণ বুকলেট, যার মূল দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এতে চবির আবাসন সংকট, নিরাপদ যাতায়াতব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের নিত্য সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান তুলে ধরা হয়। বুকলেট প্রণয়ন থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর ও প্রতীকী সিট বণ্টন কর্মসূচি— প্রতিটি ধাপেই ইসহাক ভূঁঞা ছিলেন নেতৃত্বের কেন্দ্রে।

 

দলগতভাবে কাজ করার অসাধারণ দক্ষতা, সিদ্ধান্তগ্রহণে পরিপক্বতা এবং প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আত্মবিশ্বাস- এই তিন গুণ তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। তার নম্রতা, ভদ্রতা ও বিনয়ী আচরণ যেমন তাকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করেছে, তেমনি কাজের মাধ্যমে তিনি অর্জন করেছেন শিক্ষার্থীদের অগাধ আস্থা ও ভালোবাসা।